মিষ্টি চূড়ার রহস্য মিষ্টি চূড়ার রহস্য - Image 2 মিষ্টি চূড়ার রহস্য - Image 3

মিষ্টি চূড়ার রহস্য

0
0%

একদিন, বেঞ্জামিন নামের একটি ছেলে, যে বই পড়তে ও ধাঁধা সমাধান করতে ভালোবাসত, একটি গোপন বাগানে প্রবেশ করল। বাগানটি ছিল কল্পনাবিলাসী, যেখানে ক্যান্ডি ফুল আর জেলি নদী ছিল। সেখানে, সে মিমি নামের একটি মার্শম্যালো পরীর সাথে দেখা করে। মিমি খুবই চিন্তিত ছিল, কারণ চিনি দিয়ে তৈরি স্পাইয়ার (চূড়া) তার মিষ্টি হারাচ্ছিল।

"ওহ, বেঞ্জামিন!" মিমি বলল, "এই মিষ্টি চূড়াটি তার জাদু হারাচ্ছে! এর কারণ হলো, বাগানে একটি ছায়া নেমে এসেছে, যা আমাদের আনন্দকে কমিয়ে দিচ্ছে।" মিমির কথা শুনে বেঞ্জামিন খুব কৌতূহলী হলো। সে জানতে চাইল, কিভাবে সাহায্য করতে পারে।

তখনই সেখানে এলো ওবল নামের একটি জেলি অক্টোপাস। ওবল বলল, "আমরা যদি নুনি নামের একজন মহাকাশচারীর সাহায্য নিতে পারি, তাহলে হয়তো এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। নুনি অদৃশ্য তরঙ্গ দেখতে পারে, যা আমাদের এই সমস্যার মূল খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।"

মিষ্টি চূড়ার রহস্য - Part 2

বেঞ্জামিন, মিমি, আর ওবল নুনিকে খুঁজতে চলল। তারা জেলি নদীর ধারে হেঁটে যাচ্ছিল, আর নুনি মাঝে মাঝে বুদবুদ তৈরি করে পথ দেখাচ্ছিল। অবশেষে তারা নুনির সাথে দেখা করলো, যে কিনা সবুজ রঙের একটি ছোট্ট, তিন চোখের এলিয়েন। নুনি চিনাবাদামের স্যান্ডউইচ খুব ভালোবাসত, আর তার চারপাশে সবসময় ঝলমলে বুদবুদ উড়ত।

নুনির সাহায্য নিয়ে তারা একটি ধাঁধার (maze) মধ্যে প্রবেশ করল। ধাঁধাটি ছিল খুবই জটিল, যেখানে অনেকগুলো বাধা ছিল। বেঞ্জামিনের ধাঁধা সমাধানের ক্ষমতা ছিল অসাধারণ, তাই সে খুব সহজেই ধাঁধার প্রথম স্তরটি পার করল। ওবল তার সুরেলা গানের মাধ্যমে পথ তৈরি করল, আর মিমি তার মিষ্টি পরশ দিয়ে তাদের সাহস যোগাল। নুনি তার তৃতীয় চোখ দিয়ে অদৃশ্য রংধনু তরঙ্গ দেখতে পাচ্ছিল, যা তাদের ধাঁধার সমাধান করতে সাহায্য করলো।

ধাঁধার শেষে, তারা জানতে পারল, এই সমস্যার মূল কারণ হলো একটি কালো মেঘ, যা বাগানের আনন্দ শুষে নিচ্ছে। মেঘটি তৈরি হয়েছিল খারাপ চিন্তা আর দুঃখ থেকে।

মিষ্টি চূড়ার রহস্য - Part 3

বেঞ্জামিন, মিমি, ওবল, আর নুনি একসাথে মিলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করলো। বেঞ্জামিন একটি যন্ত্র তৈরি করলো, যা আনন্দ ছড়াতে পারে। মিমি তার মিষ্টি জাদু দিয়ে সেই যন্ত্রটিকে আরও শক্তিশালী করলো। ওবল তার নাচের মাধ্যমে সেই আনন্দে যোগ দিল। নুনি তার বুদবুদ তৈরি করে চারিদিকে আনন্দের ঢেউ তুলল।

তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, যন্ত্রটি কাজ করা শুরু করলো। ধীরে ধীরে কালো মেঘটি হালকা হতে লাগল, আর একসময় সেটি সম্পূর্ণভাবে অদৃশ্য হয়ে গেল। স্পাইয়ার আবার তার মিষ্টি ফিরে পেল, আর সিক্রেট গার্ডেন আগের মতো প্রাণবন্ত হয়ে উঠল।

বেঞ্জামিন বুঝতে পারল, একা কোনো সমস্যার সমাধান করা যায় না, সবার সাহায্য প্রয়োজন। সবার নিজস্ব দক্ষতা আছে, যা একত্রিত হয়ে যেকোনো কঠিন সমস্যার সমাধান করতে পারে।

শেষে, সবাই মিলে মিষ্টি মার্শম্যালো আর জেলি দিয়ে তৈরি খাবার খেলো। বেঞ্জামিন খুব খুশি হলো, কারণ সে বুঝতে পেরেছিল, বন্ধুত্বের শক্তি অনেক বড়।

Reading Comprehension Questions

Answer: বেঞ্জামিন বাগানে মিমি নামের এক পরীর সাথে দেখা করেছিল।

Answer: সিক্রেট গার্ডেনের মিষ্টি চূড়া তার মিষ্টি হারাচ্ছিল, এবং বাগানের আনন্দ কমে যাচ্ছিল।

Answer: এই গল্প থেকে আমি শিখেছি যে, বন্ধুত্বের মাধ্যমে এবং সবার নিজস্ব দক্ষতা ব্যবহার করে যেকোনো কঠিন সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
Debug Information
Story artwork
মিষ্টি চূড়ার রহস্য 0:00 / 0:00
Want to do more?
Sign in to rate, share, save favorites and create your own stories!