রোবট কারখানায় তুষারের বন্ধু রোবট কারখানায় তুষারের বন্ধু - Image 2 রোবট কারখানায় তুষারের বন্ধু - Image 3

রোবট কারখানায় তুষারের বন্ধু

0
0%

একদিন, একটি ব্যস্ত রোবট কারখানায়, পোলা নামের একটি দারুণ ভালুক ছিল। পোলা ছিল গাঢ় ফিরোজা রঙের, আর তার নীল রঙের কান ছিল। পোলা বরফের অভিযান ভালোবাসে, আর উষ্ণ আলিঙ্গন পছন্দ করে।

কিরণ নামের একটি ছেলে, যে ধাঁধা ভালোবাসে, সে তার বন্ধু রিকার্ডোর সাথে এসেছিল। রিকার্ডো ফুটবল খেলতে আর দৌড়াতে খুব ভালোবাসে। মারিয়ানা নামের একটি মেয়েও সেখানে ছিল, যে গান গাইতে ও নাচতে ভালোবাসে। মারিয়ানা আপন মনে গুনগুন করে গান গাইছিল।

হঠাৎ, কারখানায় একটা অদ্ভুত শব্দ হল। “বীপ! বীপ!” শব্দটা শুনে সবাই চমকে উঠল। পোলা কৌতূহল নিয়ে এগিয়ে গেল। সে দেখল, একটা গোপন দরজা খুলছে। দরজার ভিতরে ছিল একটা পুরোনো বাক্স। বাক্সটার উপরে লেখা ছিল একটা ধাঁধা:

“আমি আকাশ থেকে আসি, বরফের মত সাদা, আমি শীতল, কিন্তু আমার মাঝে লুকানো রহস্যের সাধা। আমার পথ কেউ রুখতে পারে না, তবে বন্ধুত্বের শক্তিতে, পথ বদলানো যায়।”

পোলা ধাঁধাটা বুঝতে পারছিল না। কিরণ এগিয়ে এসে বলল, “আমি বুঝি! এটা নিশ্চয়ই কোনো তুষার- comট-এর কথা বলছে!”

ঠিক তখনই, কারখানার কম্পিউটার ঘোষণা করল: “বিপদ! একটি বিশাল বরফের comট কারখানার দিকে আসছে!”

রোবট কারখানায় তুষারের বন্ধু - Part 2

“ওহ্!” সবাই একসঙ্গে বলল। রিকার্ডো দৌড়াতে শুরু করল, যেন comট-এর সাথে পাল্লা দেবে।

মারিয়ানা বলল, “আমাকেও কিছু করতে হবে!”

পোলা বলল, “চিন্তা কোরো না! আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করব।”

কিরণ বলল, “প্রথম ধাঁধার সমাধান তো comট। দ্বিতীয় ধাঁধাটা দেখি!”

দ্বিতীয় ধাঁধাটা ছিল: “আমার শরীরে আছে ছয়টি কোণ, আমি বরফের রাজ্যে করি বিচরণ। আমার সঠিক রূপ দাও, তবেই পথ পাবে, আর comট-কে থামাতে পারবে।”

পোলা তার বিশেষ ক্ষমতা ব্যবহার করে, তুষার তৈরি করতে শুরু করল। সে নানা আকারের তুষার তৈরি করতে লাগল। কিরণ ধাঁধার সমাধান খুঁজে বের করল। “এই দেখ! তুষারগুলো যখন এই বিশেষ আকারে সাজানো হবে, তখনই সমাধান পাওয়া যাবে!”

পোলা দ্রুত তুষার দিয়ে ধাঁধার সমাধান করল। তুষারের আকার তৈরি হতেই, একটা গোপন লিভার দেখা গেল। রিকার্ডো দৌড়ে গিয়ে লিভারটা টানল। সঙ্গে সঙ্গে কারখানার চারপাশে একটা বিশেষ শক্তি-ক্ষেত্র তৈরি হল, যা comট-কে আটকাতে পারবে।

রোবট কারখানায় তুষারের বন্ধু - Part 3

কিন্তু, শক্তি-ক্ষেত্রটা খুব বেশি শক্তিশালী ছিল না। ধীরে ধীরে তার আলো কমে আসছিল। comট-টা তখনও আসছিল!

মারিয়ানা বলল, “আমার একটা উপায় আছে! আমার একটা গান আছে, যেটা শক্তি তৈরি করতে পারে।”

মারিয়ানা তার মিষ্টি গলায় গান ধরল। কারখানার রোবটগুলোও তার সাথে যোগ দিল। গানের সুরে, শক্তি-ক্ষেত্রের আলো আবার বাড়তে শুরু করল।

আলো ঝলমলে হয়ে উঠল। comট-টা দিক পরিবর্তন করল! comট-টা কারখানার পাশ দিয়ে চলে গেল, আর কোনো ক্ষতি হল না।

সবাই আনন্দে চিৎকার করে উঠল! পোলা সবাইকে উষ্ণ আলিঙ্গন করল। কিরণ হাসতে হাসতে বলল, “আসল রহস্য হল, comট-এর শক্তি কোথা থেকে আসছিল, সেটা খুঁজে বের করা!”

কিরণ একটা ছোট ধাঁধা সমাধান করল। “comট-এর শক্তি আসছিল তার ভেতরের একটি বিশেষ পাথর থেকে!”

রিকার্ডো ততক্ষণে ফুটবল খেলা শুরু করে দিয়েছে। মারিয়ানা হাসতে হাসতে নাচতে লাগল।

তারা সবাই মিলে বুঝতে পারল, একসঙ্গে কাজ করলে, কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। বন্ধুত্বের শক্তি সবচেয়ে বড় শক্তি।

Reading Comprehension Questions

Answer: পোলা গাঢ় ফিরোজা রঙের ছিল, আর তার নীল কান ছিল।

Answer: তারা পোলাকে দেখতে এসেছিল।

Answer: গল্পটিতে দেখানো হয়েছে যে, কিরণ, রিকার্ডো, মারিয়ানা এবং পোলা- সবাই মিলে তাদের দক্ষতা ব্যবহার করে সমস্যা সমাধান করেছে এবং comট-কে আটকাতে সফল হয়েছে। তাদের দলবদ্ধ কাজই তাদের রক্ষা করেছে।
Debug Information
Story artwork
রোবট কারখানায় তুষারের বন্ধু 0:00 / 0:00
Want to do more?
Sign in to rate, share, save favorites and create your own stories!