অনেক দিন আগের কথা, যখন স্বপ্নগুলো সত্যি হত, তখন একটি উজ্জ্বল নীল রঙের মহাকাশ যান, রকেট পপ, আর একটি গোলাপী রঙের বন-অঙ্কুর, ক্লোভার, তাদের বন্ধু ছিল। রকেট পপ-এর ঝলমলে গ্যালাক্সি ঘোরার খুব শখ ছিল, আর ক্লোভার সবুজে ঘেরা বন ভালোবাসত। তারা দুজনেই একটি বিশেষ অভিযানের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল।
তাদের সাথে দেখা হলো একটি বিশেষ ব্যাকপ্যাকের, যার নাম ছিল ব্লিংকি। ব্লিংকি ছিল খুবই মজাদার—সে কথা বলতে পারত, আর তার মধ্যে যা খুশি, তা-ই রাখা যেত! ব্লিংকি বলল, "আমি তোমাদের সব দরকারি জিনিস বহন করতে সাহায্য করব!" রকেট পপ আনন্দে তার রং পরিবর্তন করে ফেলল, আর ক্লোভারের পাতাগুলো সূর্যের আলোতে ঝিকমিক করতে লাগল।
একদিন, জারা, লুনা আর ইভোন নামের তিনজন বন্ধু গল্প শুনছিল। জারা ভালোবাসত ভ্রমণ করতে, লুনা তারাদের স্বপ্ন দেখত, আর ইভোন ছবি আঁকতে ভালোবাসত। তাদের কল্পনার চোখে, তারা যেন রকেট পপ, ক্লোভার আর ব্লিংকির সাথেই যাত্রা শুরু করল।

যাত্রা শুরু হলো ড্রাগনের ডেরার দিকে। ড্রাগনের ডেরা ছিল এক রহস্যময় জায়গা, যেখানে অনেক চমকপ্রদ জিনিস ছিল। রকেট পপ-এর খুব উৎসাহ, কারণ সে জানত সেখানে অনেক ঝকঝকে জিনিস আছে। ক্লোভার অনুভব করতে পারছিল যে ড্রাগনের ডেরার চারপাশে অনেক সুন্দর আর ঝলমলে জিনিস রয়েছে। ব্লিংকি তার মধ্যে প্রয়োজনীয় সব জিনিস ভরে নিয়েছিল।
ড্রাগনের ডেরায় পৌঁছেই তারা দেখল—কি আশ্চর্য! ড্রাগনের আকাশের রংধনুগুলো নেই! রকেট পপ-এর মন খারাপ হয়ে গেল, কারণ রংধনুগুলো তার খুব প্রিয় ছিল। ক্লোভার চিন্তিত হয়ে বলল, "আকাশের রংধনুগুলো না থাকায় গাছের পাতাগুলো কেমন যেন ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে!"
ব্লিংকি বলল, "চিন্তা কোরো না, চলো আমরা রংধনুর খোঁজে বের হই!" তারা ডেরার ভেতরে খুঁজতে শুরু করল। নানা রকম অদ্ভুতুড়ে প্রাণী আর সমস্যার সম্মুখীন হতে হলো তাদের। হঠাৎ, তারা একটা গোপন পথ খুঁজে পেল, যা একটা গোপন কুঠুরীর দিকে যায়। কুঠুরীর ভেতরে ছিল অনেক সুন্দর ছবি।

তখনই তারা জানতে পারল, রংধনুগুলো চুরি করেছে এক দুষ্টু বামন। বামনটির মন খারাপ ছিল, কারণ সে আঁকতে ভালোবাসত, আর রংধনুগুলো দিয়ে সুন্দর ছবি আঁকতে চেয়েছিল।
রকেট পপ, ক্লোভার আর ব্লিংকি বামনটিকে রংধনু ফিরিয়ে দিতে রাজি করাতে চেষ্টা করল। ইভোনের ছবি আঁকার প্রতি ভালোবাসা দেখে তারা একটা বুদ্ধি বের করল। তারা বামনটিকে ছবি আঁকার প্রশিক্ষণ দেওয়ার প্রস্তাব দিল, আর বামন রাজি হলো রংধনুগুলো খুঁজে বের করতে সাহায্য করতে।
তারা সবাই মিলে রংধনুগুলো খুঁজে বের করার জন্য কাজ শুরু করল। তারা বুঝতে পারল, একসঙ্গে কাজ করার মজাটাই আলাদা। অবশেষে, তারা রংধনুগুলো ড্রাগনের ডেরায় ফিরিয়ে আনল। চারিদিকে আবার ঝলমলে আলো ছড়িয়ে পড়ল। লুনা খুব খুশি হলো, কারণ তারাদের আলো আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠল।
যাত্রা শেষে, সবাই তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিল। তারা শিখল বন্ধুত্বের গুরুত্ব আর একসঙ্গে কাজ করার আনন্দ। ড্রাগনের ডেরা আবার হাসিখুশি আর সৃজনশীলতায় ভরে গেল।