ঝিকমিকে বীজ আর ঘুমন্ত ধ্বংসাবশেষ ঝিকমিকে বীজ আর ঘুমন্ত ধ্বংসাবশেষ - Image 2 ঝিকমিকে বীজ আর ঘুমন্ত ধ্বংসাবশেষ - Image 3

ঝিকমিকে বীজ আর ঘুমন্ত ধ্বংসাবশেষ

0
0%

এক ছিল গভীর গোলাপী রঙের বন অঙ্কুর, নাম তার ক্লোভার। রোদ তার পাতায় লাগতেই খিলখিল করে হাসত। ক্লোভার, যে গাছের সঙ্গে কথা বলতে পারত, আজ তার মনটা খুশিতে ভরে ছিল। সে যাচ্ছিল ঘুমন্ত ধ্বংসাবশেষে, এক প্রাচীন জায়গায় যেখানে প্রায়ই অদ্ভুত ঘটনা ঘটত। যেতে যেতে তারা দেখল ছোট্ট জোয়িকে, যে এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছিল। ক্লোভার তাকে খেলার জন্য ডাকল। জোয়ি দৌড়াতে খুব ভালোবাসে, আর ক্লোভারের হাসি আর ঝলমলে পাতা দেখতে তার খুব ভালো লাগে।

ঝিকমিকে বীজ আর ঘুমন্ত ধ্বংসাবশেষ - Part 2

ধ্বংসাবশেষের কাছে আসতেই ক্লোভার অনুভব করল, বাতাসটা কেমন যেন নরম হয়ে গেছে, আর একটা হালকা ল্যাভেন্ডারের গন্ধ। সেখানে, পাথর আর লতাপাতার মাঝে চুপচাপ বসে ছিল মোপ, একটা নীল রঙের আরামদায়ক রাক্ষস। মোপ, যে সবসময় আরাম খুঁজে বেড়ায়, নতুন বন্ধু পেয়ে খুশি হলো আর তাদের সাহায্য করতে চাইল। ধ্বংসাবশেষ সবসময় রহস্যে ঘেরা ছিল, সেখানে নাকি ঝিকমিকে বীজ আর লুকানো পথ ছিল। ক্লোভার আর মোপ অনেকবার সেই গল্প শুনেছে, কিন্তু কখনো সেখানে যাওয়ার সাহস হয়নি। কিন্তু আজ, সেখানকার বাতাসটা যেন অন্যরকম, কৌতূহলে ভরা। জোয়ি বলল, “চলো, আমরা যাই!”

ঝিকমিকে বীজ আর ঘুমন্ত ধ্বংসাবশেষ - Part 3

তারা তিনজন ধ্বংসাবশেষে ঢুকল, তাদের পায়ের নিচে পাথরগুলো ঠান্ডা আর মসৃণ ছিল। ভেঙে যাওয়া দেওয়ালের ফাঁক দিয়ে সূর্যের আলো আসছিল, যা মাটিতে আলো-ছায়ার রেখা তৈরি করছিল। জোয়ি, যে দৌড়াতে ভালোবাসে, সবার আগে ছুটছিল, তার ঝুঁটিগুলো নাচছিল। ক্লোভার, সবসময় কৌতূহলী, গাছের সাথে কথা বলার ক্ষমতা ব্যবহার করে জানতে চাইল, তারা কিছু জানে কিনা। পাতাগুলো সরসর করে বলল, ঝিকমিকে বীজগুলো তাদের জাদু হারাচ্ছে। এই বীজগুলোই ছিল ধ্বংসাবশেষের আশ্চর্যের মূল কারণ, যা সবকিছুকে হালকা আলোয় আলোকিত করত। মোপ, যে আরাম ভালোবাসে, খেয়াল করল বাতাসটা আগের মতো নরম নেই। সে তার বিশেষ কম্বল-লোম ব্যবহার করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করল। তারা একসাথে একটা গোপন কুঠুরি খুঁজে পেল, যা একটা ভাঙাStatueর পেছনে লুকানো ছিল। ভেতরে, বীজগুলো নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল। ক্লোভার তার খুশি দিয়ে বীজগুলোকে সাহায্য করার চেষ্টা করল। সে খিলখিল করে হাসল আর তার মাথায় একটা সুন্দর গোলাপী ফুল ফোটাল, কিন্তু বীজের কোনো সাড়া নেই। মোপ তখন তার কম্বল-লোম দিয়ে বীজগুলোর জন্য একটা আরামদায়ক কম্বল তৈরি করল, ভেবেছিল হয়তো আরাম পেলে তারা আবার ঝলমল করবে, কিন্তু কিছুই হলো না। তারপর জোয়ি, যে কিছুক্ষণ চুপ করে ছিল, তার একটা বুদ্ধি এল। “তাহলে কি তাদের একটা কৌতুক শোনাতে হবে?” সে প্রস্তাব করল। মোপ অনেক মজার ঘুম-গল্প জানে, তাই সে বীজগুলোকে একটা মজার গল্প শোনাল। কিন্তু তখনও কিছু হলো না। হঠাৎ, মাটি কাঁপতে শুরু করল। একটা কালো, ছায়াময় মূর্তি কোণে দেখা দিল, আর কুঠুরিতে একটা নিচু গর্জন শোনা গেল। বন্ধুরা বুঝতে পারল, তাদের দ্রুত কিছু করতে হবে।

ছায়াময় মূর্তিটা কাছে এল, দেখা গেল সে একজন রাগী বুড়ো পাথর, যে গোলমাল পছন্দ করে না। ক্লোভার, গাছের সাথে কথা বলার ক্ষমতা মনে করে, লতাগুল্মদের সাহায্য চাইল। লতাগুলো আলতো করে এগিয়ে এসে পাথরটাকে জড়িয়ে ধরল, তাদের পাতা দিয়ে তাকে tickle করল আর হাসতে বাধ্য করল। ক্লোভার বুঝতে পারল, হয়তো বীজগুলোর একটু tickle দরকার। জোয়ি, পাথরের পরিবর্তন দেখে, দৌড়াতে শুরু করল, বীজগুলোকে tickle করার চেষ্টা করতে লাগল। সে এদিক ওদিক দৌড়াচ্ছিল, কিন্তু বীজগুলো নড়ল না। অবশেষে, জোয়ি দৌড়ানো বন্ধ করল, আর বীজগুলোর দিকে তাকিয়ে, মজার গল্পটা মনে করে, মৃদু হাসল। তারপর, জোয়ি কিছুক্ষণ চুপ করে বসে গল্পটা বলার চেষ্টা করল, ধীরে ধীরে, শান্তভাবে। সে যখন শেষ করল, বীজগুলোর মধ্যে একটা ছোট্ট ফুলকি দেখা দিল! ধীরে ধীরে, আরও ফুলকি বের হলো, যতক্ষণ না পুরো কুঠুরিটা হালকা, উষ্ণ আলোয় ভরে গেল। ঝিকমিকে বীজগুলো ফিরে এসেছে! রাগী পাথর, এখন হাসছিল, তাদের জন্য বীজের আরামের জায়গা খুঁজে দিল। মোপ নিশ্চিত করল প্রত্যেক বীজ তার fluffy blanket-fur দিয়ে আরাম পাচ্ছে। ক্লোভার তাদের জন্য একটা বিশেষ ফুল ফোটাল। জোয়ি বীজগুলোর ঝলকানি দেখে খুশি হলো, আর মৃদু আলোতে দৌড়াতে লাগল। বন্ধুরা সারাদিন ধ্বংসাবশেষে খেলল, এখন-খুশি পাথর আর ঝিকমিকে বীজগুলোর সাথে। তারা শিখল, মাঝে মাঝে অন্যদের সাহায্য করার সেরা উপায় হলো দয়া করা, শান্ত হওয়া, আর হয়তো একটা মজার গল্প বলা। আর, কখনও কখনও, দৌড়ানোর মতোই চুপ করে থাকাটাও গুরুত্বপূর্ণ।

Reading Comprehension Questions

Answer: ক্লোভার ছিল গভীর গোলাপী রঙের।

Answer: ঝিকমিকে বীজগুলো ছিল ধ্বংসাবশেষে।

Answer: জোয়ি গল্পটি ধীরে ধীরে শান্তভাবে বলার মাধ্যমে বীজগুলোকে সাহায্য করেছিল।
Debug Information
Story artwork
ঝিকমিকে বীজ আর ঘুমন্ত ধ্বংসাবশেষ 0:00 / 0:00
Want to do more?
Sign in to rate, share, save favorites and create your own stories!